লিটন পাঠান গণমাধ্যমকর্মী:
যে কোনো দুশ্চিন্তা ব্যক্তির, পারিপার্শ্বিকতার ওপর নির্ভর করে যেমন
বর্তমানে করোনাভাইরাস সবার মনে কমবেশি উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে উদ্বেগ যে
কোনো সময় তৈরি হতে পারে এর উৎসও ভিন্ন হতে পারে উদ্বেগ মূলত ভয় বা
আশঙ্কা যা মানসিক চাপের উৎপত্তিতে মুখ্য ভূমিকা পালন করে অতিরিক্ত
মানসিক চাপ সুস্থ বা অসুস্থ শরীর বলে কথা নেই কারণ চাপ চাপই তবে শরীরের
সুস্থতা নিশ্চিত করে কী পরিমাণ চাপ সহ্য করা সম্ভব এবং তা নির্ভর করে চাপের
ধরনের ওপর। চাপের কারণ নির্ভর করে আশা বা প্রত্যাশার ওপর নিজের ওপর
নিজের চাপের কারণ হলো প্রত্যাশা নিজে ছাড়া আশা বা প্রত্যাশার ওপর
যারা চাপ সৃষ্টি করে তার মধ্যে রয়েছে যেমন বল্পুুব্দ-বান্ধবী বাবা মা পরিবার
লেখাপড়া চাকরি সমাজ ইত্যাদি মানসিক চাপ বিষণ্ণতা ও দুশ্চিন্তা-এই শব্দগুলো
আমাদের প্রতিদিনের সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে ইচ্ছা থাকলেও আমরা এর
থেকে মুক্তি পেতে পারছি না মানসিক চাপের সঙ্গে নতুন করে পরিচয় করানোর
কিছু নেই প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনা বা পরিস্থিতি যেমন কোনো জটিল সমস্যা
চ্যালেঞ্জ অতিরিক্ত কাজ প্রত্যাশা ইত্যাদির ফলে আমাদের দেহ ও মনের
ওপর যে চাপ পড়ে, তাকে আমরা স্ট্রেস বা মানসিক চাপ বলতে পারি অর্থাৎ
দৈহিক মানসিক পারিবারিক সামাজিক বা পেশাগত চাপের কারণে আমাদের
দৈনন্দিন জীবনে সৃষ্টি হয় এক অস্থিতিশীল অবস্থা যা পরবর্তীকালে হতে
পারে শারীরিক ও মানসিক অসুস্থতার কারণ দীর্ঘকালীন মানসিক চাপ বয়ে
আনে শারীরিক ও মানসিক সমস্যা যা মস্তিস্কে প্রভাব ফেলে পরিশেষে আমরা
হয়ে যাই অসুস্থ বাংলাদেশে শিক্ষাজীবনের শুরুতে শিশুর ওপর চাপ
পড়ছে বেশি বইয়ের চাপ সিলেবাসের চাপ পরীক্ষার চাপ সৃজনশীল শিক্ষার
চাপ জিপিএর চাপ তারপরও কিন্তু সন্তুষ্ট নয় অনেকেই এখনকার ব্যস্ত জীবনে
মানুষের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে ব্যস্ততা আর উদ্বেগ মিলিয়ে মনের ওপর বেশ চাপ
যাচ্ছে। যার ফলে মনে প্রশান্তি আনার সুযোগ মিলছে না প্রতিকূল পরিস্থিতির
মধ্যে পড়লে শারীরিক ও মানসিক অবস্থার ওপর একধরনের প্রভাব পড়া
স্বাভাবিক আর এভাবে বেড়ে উঠছে আমাদের নতুন প্রজন্ম শুধু বাংলাদেশের
প্রজন্মের কথা নয় এটা গোটা বিশ্বের প্রজন্মেরই প্রতিচ্ছবি এখন যদি আমরা
মনে করি এভাবে চলতে দেওয়া যাবে না তাহলে কী করণীয় রয়েছে আমাদের
প্রথমত আমাদের প্রত্যাশা সন্তানের ওপর যাতে মানসিক চাপ না সৃষ্টি করে সেদিকে
খেয়াল রাখতে হবে হঠাৎ করে এমন একটি পরিবর্তন বাবা মায়ের জন্য এক
নতুন চাপ সন্তানের খাবারের দিকে নজর দিতে হবে যে খাবারে পুষ্টি উপাদানগুলো
রয়েছে যা স্নায়ুকে শীতল রাখতে সহায়তা করে সাময়িকভাবে হলেও তা কিছুটা
মানসিক চাপ কমায় এ খাবারগুলো যেন বাসায় থাকে সে বিষয় লক্ষ্য রাখতে হবে
শরীর সুস্থ রাখার জন্য খেলাধুলা ও শারীরিক অনুশীলন খুবই কার্যকর
এগুলো মানসিক চাপ থেকে মুক্ত থাকতে সাহায্য করে এ কাজগুলো আনন্দ দেবে
আর এ কারণে মানসিক চাপও কমে যাবে সময় পেলে হাঁটার চেষ্টা করুন
মানসিক চাপ কমানোর অন্যতম একটি উপায় প্রকৃতির কাছাকাছি হাঁটলে
সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায় এটা পরীক্ষিত সক্রিয়ভাবে খেলাধুলা করা
ঘাম ঝরানো বা কায়িক পরিশ্রম যে শুধু শরীরের উপকার করে তা নয় পরিশ্রমের
ফলে শরীরের অন্তর্নিহিত মেদ ক্ষরিত হয়। লেখক, মোঃ লিটন পাঠান গণমাধ্যমকর্মী
Copyright © 2023 সময়কাল নিউজ | Design & Developed By: ZamZam Graphics