শেখ মহিউদ্দিন রুবেল :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে যৌথ পুকুর নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষ ও এক জনের প্রাণহানির ঘটনায় দায়ের মামলায় নিরীহদের আসামি করার অভিযোগ পাওয়া যায়। ভুক্তভোগীদের দাবি, ঘটনাস্থলে না থাকলেও তাদের মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। এমনকি ক্ষেতের ধান কেটে নিচ্ছে প্রতিপক্ষের লোকজন।
স্থানীয়রা জানান, গত ৯ নভেম্বর নাসিরনগর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের আলিয়ারা গ্রামে যৌথ একটি পুকুর নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে একজন নিহত হন। এই ঘটনায় ১১ নভেম্বর নিহতের ভাই সৈয়দ তাকবির আহমেদ বাদি হয়ে ১৭ জনের নামে হত্যা মামলা করেন। মামলায় ঘটনাস্থলে ছিলেন না এবং বাড়ি অন্য জেলায় এমন ব্যক্তিকেও আসামি করা হয়েছে। জানা যায়, নিষেধ সত্ত্বেও যৌথ পুকুরে জোরপূর্বক মাটি উত্তোলন করায় চলতি বছরের ১৬ মার্চ আলিয়ারা গ্রামের সৈয়দ সুমন গং এর বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন একই গ্রামের সৈয়দ ওছমান গনি। পরে পুলিশ এসে পুকুর থেকে ড্রেজার মেশিন উত্তোলন করে।
পরবর্তীতে স্থানীয় চেয়ারম্যানের অফিস বিষয়টির মীমাংসা এবং সৈয়দ সুমনকে গংকে ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করে। কিন্তু সুমন এ রায় না মেনে ওসমান গণিকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতে থাকে। এর জেরে গত ৮ নভেম্বর ওসমান গণিকে মারপিট করে সুমনের চাচা সৈয়দ মাসুদ। এ বিষয়টিকে কেন্দ্র করে ৯ নভেম্বর উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়।
গত ৯ নভেম্বর নাসিরনগরে যৌথ পুকুর নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষ ও প্রাণহানির ঘটনায় দায়ের মামলায় নিরীহদের জড়িয়ে হয়রানি করা ও আসামি করার অভিযোগের ব্যাপারে নাসিরনগর থানার ওসির সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি মোবাইল ফোনটি রিসিভ করেন নাই।
দু’পক্ষের সংঘর্ষ ও প্রাণহানির ঘটনায় দায়ের মামলায় নিরীহদের জড়িয়ে হয়রানি করা ও আসামি করার অভিযোগের ব্যাপারে হরিপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ফারুক আহমেদ বলেন, যৌথ পুকুর নিয়ে মামলা ও ৮০ হাজার টাকা জরিমানা হয়েছিল সেটার ব্যাপারে আমি অবগত আছি।
Copyright © 2022 সময়কাল নিউজ | Design & Developed By: ZamZam Graphics