সময়কাল নিউজ
সময়কাল নিউজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্ত্রীর খুনে স্বামীর মৃত্যুদন্ড

সময়কাল নিউজ ডেস্ক:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যার দায়ে শাহিন মিয়া (৩৪) নামে এক ব্যাক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে নিহত স্ত্রী ফেরদৌসা বেগম (২০) এর বাবা হাবিবুর রহমানের দায়ের করা মামলায়
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা জজ মোহাম্মদ আলতাফ হোসাইন এ রায় দেন।
মামলার অন্য তিন আসামি শাহিনের বাবা নাছির মিয়া (৬১), মা রোশনা বেগম (৫৪) ও বোন খাদিজা বেগমকে (৩১) মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। আসামিদের বাড়ি পৌর শহরের গোকর্ণঘাট এলাকায়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায় , ২০১০ সালে পারিবারিকভাবে ফেরদৌসা ও শাহিনের বিয়ে হয়। বিয়েতে মেয়ের শ্বশুর বাড়ির দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ১ লাখ ৩০টাকার টাকার যৌতুক দেন হাবিবুর রহমান। এরপরও শাহিন বিদেশ যাওয়ার জন্য ফেরদৌসাকে বাবার বাড়ি থেকে দেড় লাখ টাকা এনে দিতে চাপ দেয়। একপর্যায়ে তাঁকে মারধর ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে শাহিন। ২০১১ সালের ২৩ এপ্রিল সন্ধ্যা ছয়টার দিকে শাহিন ও তাঁর বাবা নাছির মিয়া, মা রোশনা বেগম ও বোন খাদিজা বেগম মারধর করে ফেরদৌসাকে গুরুতর জখম করে। ওই দিন সন্ধ্যায় তাঁরা ফেরদৌসাকে ফাঁস লাগিয়ে বসতঘরে হত্যা করে। পরে ফেরদৌসা আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে বাবা হাবিবুর রহমান পুলিশসহ সঙ্গে অন্যদের নিয়ে শ্বশুরবাড়ির থেকে ফেরদৌসার লাশ উদ্ধার করে।
এ ঘটনার পরদিন হাবিবুর রহমান জামাতা শাহিন মিয়া (৩৪) ও তাঁর বাবা নাছির মিয়া, মা রোশনা বেগম ও বোন খাদিজা বেগমকে আসামি করে সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় গ্রেপ্তারের পর ২০১১ সালের ২৫ মে শাহিন হত্যার দায় স্বীকার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একটি আদালতে ১৬৪ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। আর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ২০১১ সালের ৩১ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দায়ের করেন।
নিহতের বাবা হাবিবুর রহমান জানান, মেয়েকে হত্যার মামলায় দীর্ঘদিন পর আদেশ পেয়েছি। হত্যাকারীর বিরুদ্ধে রায় দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ জানান তিনি।

সময়কাল নিউজ