ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে সুমাইয়া আক্তার (১১) নামের ৬ষ্ঠ শ্রেনীর এক ছাত্রীর বাল্যবিয়ে বন্ধ করলেন সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ সাহাদাত হোসেন টিটো। মেয়েটি সরাইল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী। সে উপজেলা সদরের সৈয়দটুলা গ্রামের প্রবাসী জাহাঙ্গীর মিয়ার মেয়ে।
উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামের বশির আহম্মদের ছেলে প্রবাসী শাহ আলম (৩৪) এর সাথে মেয়েটির বিয়ের প্রস্তুতিকালে সরাইল থানার পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কনের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে কনেসহ তার মাকে থানায় নিয়ে আসে। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে পরামর্শক্রমে অভিভাবকদের মুচলেকার বিনিময়ে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।
সুমাইয়ার বিদ্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, সরাইল সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বারের স্বাক্ষরিত জন্মসনদ অনুযায়ী তার বয়স ১১ বছর। বিয়ের মঞ্চ থেকে সংগ্রহ করা অপর আরেকটি জন্ম সনদে একই চেয়ারম্যানের স্বাক্ষরিত জন্মসনদে সুমাইয়া বয়স দেখানো হয়েছে ১৮ বছর। প্রকৃত বয়স আড়াল করে বিয়ে সম্পাদনের লক্ষে জন্মসনদের গড়মিলের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ.এস.এম মোসা জানান, সরাইল সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে কারন দর্শানোর জন্য বলা হয়েছে।
Copyright © 2022 সময়কাল নিউজ | Design & Developed By: ZamZam Graphics