সময়কাল নিউজ
সময়কাল নিউজ

সরাইল থেকে একজন চৌকস সমাজসেবা অফিসার বদলী

এম মনসুর আলী, সরাইল থেকে:
বদলীজনিত কারণে সরাইল থেকে চলে গেলেন গরীবের বন্ধু খ্যাত উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলাম। তিনি একজন চৌকস সমাজ সেবা অফিসার ছিলেন। অত্যন্ত বিচক্ষণতার সাথে সরাইল উপজেলায় ১১বছর ৮ মাস তিনি তাঁর দায়িত্ব পালন করে গেছেন। বিদায়ী এ সমাজসেবা অফিসার সকলকে নিয়ে সুন্দর একটি টিমওয়ার্ক করে কাজ রেছেন। তিনি সফলও হয়েছেন। সরাইল উপজেলার মানুষ সমাজসেবা কর্মকর্তা মো.জহিরুল ইসলামকে ভালো মানুষ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তাঁর বিদায়ে “একজন চৌকুস অফিসার ” চলে গেছেন বলে সুশীল সমাজের অনেকই আপসোস করেছেন। ব্যাক্তিগত ও অফিসিয়ালি ৩১ টি সংবর্ধনা দেয়া হয় তাঁকে। এদের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে সংবর্ধনা দেন সরাইল উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ,সরাইল অফিসার্স ক্লাব,দুই বার নির্বাচিত সাবেক এমপি এডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা,সরাইল প্রেস ক্লাব,সরাইল উপজেলা প্রেস ক্লাব,সরাইল উপজেলা রিপোর্টার্স ইউনিটি, সরাইল উপজেলার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এড, মোঃ আবদুর রহমান,সরাইল ক্রীড়া সংস্থা,সরাইল সেবানন্দ সে”ছাসেবী সংম্থা,সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ও আরএমও, উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ,উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদের সচিবগণ,পানিশ্বর ইউনিয়নের ইউপি সদস্যবৃন্দ, উপজেলার নিবন্ধীকৃত সে”ছাসেবী সংস্থা সমূহ,সরাইল গুনারা দরবার শরীফ, উপজেলা যুবদলের পক্ষ থেকে,উপজেলা আওয়ামীলীগ ও যুবলীগের পক্ষ থেকে তাকে সংববর্ধনা দেয়া হয় । তাছাড়াও সরাইল উপজেলার নিজ সরাইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি অধ্যাপক জনাব জিয়াউর রহমান লাভলিসহ স্কুলের সকল শিক্ষকবৃন্দ, উপজেলা জাতীয় ছাত্র সমাজ, গুনারা সোসাল ডেবলপমেন্ট সোসাইটি,উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়সহ আরও অনেক অঙ্গ সংগঠন ও সম্মানিত ব্যাক্তিরা তাঁকে বিদায়ী সংবর্ধনা দেন। সমাজসেবা কর্মকর্তা মাদকসেবন বন্ধেও গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করেছেন। সমাজসেবা অফিসের সামনের পুকুর পাড়ে ঝোপঝাড় ছিল। ঝোপঝাড়ের আড়ালে বসে মাদকসেবীরা সন্ধ্যার পর মাদকসেবন করতো।সমাজসেবা কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম এই মাদক আড্ডা বন্ধ করার জন্য কৌশলে পুকুর পাড়ে বাগান করেন এবং চারদিকে শক্ত করে বেড়া দেন যাতে মাদকসেবীরা এখানে ঢুকতে না পারে। এভাবে তিনি মাদকের গোপন আখড়াকে বাগানে পরিণত করেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া (ভাটিয়াঞ্চল) সচেতন নাগরিক সমাজের সভাপতি সানাউল­াহ ভুইয়া বলেন,সত্যিই সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলাম সমাজসেবা বিভাগের “আইকন”। মাদকের আখড়াকে বাগানে পরিণত করে তিনি সর্বমহলে প্রশংসা অর্জন করেছেন

সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. জহিরুল ইসলাম সমাজের বিত্তবানদের কাছ থেকে অর্থ চেয়ে এনে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়টির বাউন্ডারি ওয়াল, বারান্দা, অফিস রুমের শ্রীবধর্ন এবং উপজেলা পরিষদ মসজিদের অত্যাধুনিক হুজুরখানা করেছেন। তাছাড়া সরাইল একাডেমিক স্কুল প্রতিষ্ঠায় তাঁর অনেক অবদান আছে। তিনি দীর্ঘদিন সরাইল অফিসার্স ক্লাবের সেক্রেটারি ছিলেন। সাংবাদিক আরিফুল ইসলাম বলেন-সমাজসেবা অফিসার জহিরুল ইসলামের অভাব সরাইলের মানুষ একদিন অনুভব করবেন। সুবিধা বঞ্চিত মানুষের আপনজন ছিলেন সফল সমাজসেবা অফিসার জহিরুল ইসলাম। তিনি বহু বেকার নারীকে আত্মকর্মসং¯’ানের পথ দেখিয়েছেন। তিনি জাতীয় শোক দিবস,বিজয় দিবস,স্বাধীনতা দিবস মোট কথা সব জাতীয় দিবসের অনুষ্ঠানগুলো মনোমুগ্ধকরভাবে পরিচালনা করেছেন। অফিসার্স ক্লাবের ৯ বছর সেক্রেটারী ছিলেন। উপজেলা প্রশাসন মসজিদের হুজুর খানা প্রায় ৬ লাখ টাকা খরচ করে করেছেন। এতে মসজিদ ফান্ডের এক টাকাও খরচ করেননি। বিত্তবান ও দরদীদের কাছ থেকে হাত পেতে সাহায্য এনে এসব করেছেন। স্কুল ও মসজিদের জন্য রাতে বিভিন্ন ইট ভাটা ও স’মিলে গিয়ে নিজের হাতে ইট ও কাঠ ভ্যানে ভরে নিয়ে এসেছেন।

সময়কাল নিউজ