সময়কাল নিউজ
সময়কাল নিউজ

সারা দেশে নিরবে কাঁদছে গনমাধ্যমকমীরা

মোঃ লিটন পাঠান: মরণঘাতী করোনার থাবায় থমকে গেছে গোটা বিশ্ব যতই শক্তিধর রাষ্ট্র হোক না কেন সব রাষ্ট্রকেই নাকানি- চুবানি খাইয়ে নাজেহাল করে দিচ্ছে এ ভাইরাসটি। পাশাপাশি বিশ্বকে অথৈনৈতিকভাবে পিছিয়ে দিচ্ছে শত শত বছর। করোনার বহাল থাবা ছাড় দেয়নি আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিকেও, মরণঘাতী করোনা এদেশে অনেক অনেক মায়ের বুক খালি করেই চলছে, বৃদ্ধ যুবক শিশু নারী কাউকে ছাড় দিচ্ছে না এই ঘাতক করোনা প্রতিদিন প্রতিযোগিতা করে বৃদ্ধি করেই চলছে আক্রান্তের এবং মৃত্যুর সংখ্যা দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যু মিছিল। ঘাতক করোনা এ পর্যন্ত দেশে প্রাণ নিয়েছে ১২৭ জনের এবং আক্রমণ করেছে ৪১৮৬ নিরীহ মানুষকে ঘাতক করোনা হাত থেকে রক্ষা করতে দেশ ও দেশের নাগরিকদের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার, ইতিমধ্যে সব অফিস আদালত বন্ধ রয়েছে দেশকে সুরক্ষা দিতে লকডাউন ঘোষণা করে জনগণকে নিরাপদে থাকতে সর্বাত্বক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, এবং অসহায় মানুষদের যাতে না খেয়ে থাকতে না হয় সেজন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ত্রাণ-সামগ্রী বরাদ্দ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী পাশাপাশি ত্রাণ-সামগ্রী দিচ্ছেন বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও ব্যক্তি মালিকানা প্রতিষ্ঠানগুলো, তবে অনেক পেশার মানুষরা ঘরে থাকার সুযোগ পেলেও দেশের এই সংকলকালীন সময়ে জীবন বাজি রেখে মাঠে কমড় বেঁধে নেমেছে স্বাস্থ্যকর্মী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং সংবাদকর্মীরা, এই তিন পেশার নিয়োজিতরা সবাই মানুষ হলেও বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত সংবাদকর্মীরা, অন্যসব পেশার মানুষদের পাশে সরকার বা বিভিন্ন সংগঠন দাঁড়ালেও সংবাদকর্মীদের পাশে কেউ নেই, তবুও দিনরাত ছুটে চলেছে এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে খুঁজে বের করছেন সাধারণ মানুষের কষ্টের নানা কথা তুলে ধরছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, তবে মাঠে যে তিন পেশার মানুষ যুদ্ধ করছেন তাদের মধ্যে রয়েছে শ্রেণি ভেদ এর মধ্যে স্বাস্থ্যকর্মী বা আইনশৃঙ্খলা সরকারের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা আওতায় থাকার পরেও সরকার দিচ্ছেন প্রনোদনা, কিন্তু সংবাদকর্মীরা কেমন আছে , কিভাবে আছে পরিবারের লোকরা কি খাচ্ছে খোঁজ রাখছে না কেউ, মনে হয় আমরা বুঝি অন্য গ্রহের প্রাণী একদিকে সংবাদকর্মীদের বঞ্চিত করছে সংবাদপত্রের মালিকরা অন্যদিকে বঞ্চিত করছে সরকার, সংবাদপত্রের মালিকদের দেখা গেছে সরকারি ত্রাণ তহবিলে কোটি কোটি টাকা অনুদান দিতে, হাজার হাজার মানুষকে ত্রাণ দিয়ে সহযোগিতা করতে বিভিন্ন সংগঠনকে করোনা মোকাবেলায় কিটসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম দিতে, আর এসব ত্রান বা অনুদানের খবর গনমাধ্যমে ফলাও করে প্রচার করে দিচ্ছে সংবাদকর্মীরা, অথচ এই সংবাদকর্মীদের পাশে দাঁড়াতে দেখা যায় নি কোন সংবাদপত্রের মালিকদের, দেশ করোনা আসার পর থেকে হাতে গোনা দুই একটি সংবাদপত্রে নিয়োজিত সংবাদকর্মীরা ছাড়া অনেক সংবাদকর্মীরা এখন পর্যন্ত নিজের পারিশ্রমিক বেতনটা পর্যন্ত পাননি, যেখানে বন্ধ থাকার পরেও অন্য পেশার মানুষসহ গার্মেন্টস কর্মীরাও বেতন পেয়েছে অথচ সংবাদপত্র খোলা, সংবাদকর্মীরা জীবন বাজি রেখে কাজ করে যাচ্ছে কিন্তু বেতন বা অনুদানের ক্ষেতে তারা একেবারেই বঞ্চিতই, মালিকদের উচিত আগে তাদের নিজের প্রতিষ্ঠানে যারা জীবন বাজি রেখে কাজ করে যাচ্ছে তাদের পাশে দাঁড়ানো মানবিক দিক থেকে বিবেচনা করে বেতনের পাশাপাশি প্রনোদনা নিয়ে সংবাদকর্মীদের দুঃসময়ে পাশে এগিয়ে আসা। কিন্তু সবেই যেন সংবাদকর্মীদের জন্য দূর্লভ এবং উল্টো, মালিকরা সংবাদকর্মীদের পাশে না দাঁড়ালেও সংবাদকর্মীরা তাকিয়ে ছিলো সরকারের দিকে, সরকারেও কেন জানি সংবাদকর্মীদের কাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে, যেদিনই জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর কোন সংবাদ সম্মেলন বা দিক নির্দেশনামুলক কোন অনুষ্ঠান থাকে সেদিন হতভাগা সংবাদকর্মীরা একবুক আশা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সেই অনুষ্ঠানে দিকে তাকিয়ে থাকে, সংবাদকর্মীদের ভাবনা কেউ পাশে না দাঁড়ালেও প্রধানমন্ত্রী পাশে দাঁড়াবেন এবং সংবাদকর্মীদের জন্য আশার বাণী শুনাবেন প্রনোদনা ঘোষণার মাধ্যমে কিন্তু না পত্রিকার মালিকদের মতো সরকারেও সংবাদকর্মীদের এড়িয়েই , যাচ্ছেন সীমাবদ্ধতা রাখছেন শুধু ধন্যবাদের মধ্য দিয়েই, সংবাদকর্মীরা যে ভালো নেই এটা হয়তো প্রধানমন্ত্রীর কান পর্যন্ত পৌঁছায়নি, যাদের মাধ্যমে পৌঁছানোর কথা তারা কেনইবা সংবাদকর্মীদের দুর্বিষাহ জীবনের কথা তুলে ধরছেন না সেটা বোধগম্য নয়, জানাবেন বা কি করে যারা জানাবেন তারাতো ভালোই আছেন,অনেক সংবাদকর্মীদের ঘরে খাবার নেই অনেক ঘরে খাবার ফুরিয়ে আসছে, অনেকই পরিবার নিয়ে হতাশায় নিমজ্জিত অনেকই কারো কাছে হাত পাততে না পেরে নিরবে কাঁদছেন অনেকই বেতন না পেয়ে নিজের উপর উর্পিত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন চাকরি বাঁচানোর আশায় অনেকই পরিবারের মুখে অন্ন তুলে দিতে লকডাউনের মধ্যে অফিসে ছুটছেন, তবে ইতিমধ্যে সংবাদকর্মীদের জন্য সরকারের কাছে আবেদন করেছেন বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলসহ সাংবাদিক সংগঠনগুলো, এখন শুধু অপেক্ষার পালা কখন সংবাদকর্মীদের দিকে তাকাবেন দেশের উচ্চ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দসহ প্রধানমন্ত্রী, সরকারের কাছে অনুরোধ দেশের এই ক্লান্তিলগ্নে অন্য পেশার মানুষদের পাশে যেভাবে দাঁড়িছেন, সংবাদকর্মীদের পাশেও একটু সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে দিন সত্যিকার অর্থে এ পেশার মানুষরা ভালো নেই নিরবে অনেক সংবাদকর্মীরাই যে কাঁদছে বিশ্বাস না হলে জরিপ করে সত্যতা যাচাই করতেও পারেন।

সময়কাল নিউজ